Untitled

জাহান্নামে যাক গ্রহ নক্ষত্রসমুহ ভেঙে পৃথিবীও যাক জাহান্নামে,
লাথি মেরে সব ভেঙে চুরমার করে দিলে কাল আমি সহাস্যবদনে
হাততালি দিয়ে মঞ্চে কোনরূপ গ্লানিহীন নুরেমবার্গের আদালতে
তুড়ি মেরে কাঠগড়া গুঁড়িয়ে তোমাদেরও পারতাম ভেল্কিসুবিস্তারে |
সৌরমণ্ডলের পথে তছনছ পৃথিবীর অন্ধকার ফেরী আবর্তন
কোনোরূপ রেখাপাত সম্ভব ছিলোনা গ্রন্থে হৃদয়ে মেধায়,
আমার শরীর ঘিরে ইহুদির হিন্দুশিখমুসলিমের
. আততায়ী আদর্শের ঘৃণ্য রক্তপাত--
আমাকেও জয়োল্লাস দিয়েছিল মুত্রপাতে পোষা রাজনীতি |
তোমাদের আস্ফালনে বিনয়ী মুখোশ ঘিরে আমার হণির জন্মদিন
আমারই মুখোশ ধরে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে আর্ত চিত্কারে--
ধান উত্পন্ন হওয়ার গন্ধ এখন পেয়েছি শুঁকে কৃষকের উর্বর শরীরে,
কুমারী মহিলাদের মসৃণ উজ্জ্বল দেহে বহুবার হাত রেখে উত্তর নিরিখে
পরাগ চমকে ওঠে, স্পর্ষ করে নারীর সমগ্র দেহ জুড়ে
আশ্রয়ে ছড়ানো আছে পীত এক ধরনের মিহিরুখু বালি |
ক্রমে এই সমস্তই নাভির ভিতরে আনে রুদ্ধ আলোড়ন,
জেগে ওঠে মৃগনাভি, চেয়ার টেবিলে গ্রন্থে অম্লান মাঠের ভিতরে
ধূ ধূ রিক্ত প্রান্তরের দিকে শাবক প্রসব করে রঙিন প্রপাত,
চারিদিকে ফলপ্রসূ হয়ে গেছে রাশি রাশি প্রতিহারী ধান--

মনে হয় বহুক্ষণ মাঠে মাঠে গড়াগড়ি দিয়ে বিছানায় উঠে আসে নারী
. ক্ষুধার্থ শিকড়গুলি ঢুকে যায় নীড় আস্বাদনে ;
তখনই উত্পন্ন হওয়ার গন্ধ জাগে, কৃষকের উর্বর শরীরে |
প্লুত আবছা আঁধারে আজ তাই বারংবার মনে হয় পৃথিবীর সহজ সুদিন
ফিরে এলে সুধাশান্তি,

আমার হণির জন্য তোমাদের কাছে আমি ঋণী চিরদিন |

(হাংরি বুলেটিন, ১৯৬২)

Rate this poem: 

Reviews

No reviews yet.